বার্তা ডেস্ক
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম সম্প্রতি তার স্ত্রী রিয়া মনিকে তিন তালাক দেওয়ার পর দুধ দিয়ে গোসল করেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর আফতাবনগরে ঘটে এই ঘটনা। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা—দুধ দিয়ে গোসলের বিষয়টি আসলে কতটা উপকারী, নাকি শুধুই প্রতীকী এক প্রথা?
দুধ দিয়ে গোসলের ধারণা নতুন নয়। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই এটি পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। শুধু এই অঞ্চলে নয়, রোমান সভ্যতা কিংবা প্রাচীন মিশরেও দুধ দিয়ে গোসলের প্রচলন ছিল। বলা হয়, মিশরের রানি ক্লিওপেট্রা নিয়মিত দুধ দিয়ে গোসল করতেন তার সৌন্দর্য ধরে রাখতে।
তবে আধুনিক বিজ্ঞান এই প্রথার ব্যাখ্যা দিয়েছে একটু ভিন্নভাবে। দুধে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাট, প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের যত্নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ দিয়ে গোসল করলে কিছু বাস্তব উপকারও পাওয়া যেতে পারে। যেমন—
১. ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে:
দুধে থাকা ফ্যাট ও প্রোটিন ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে। নিয়মিত দুধ দিয়ে গোসল করলে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ময়েশ্চারাইজ হয়।
২. রোদে পোড়াভাব দূর করে:
দুধের ভেতর থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। রোদে পুড়ে গেলে ঠান্ডা দুধ দিয়ে শরীর মুছে নিলে তা ত্বককে আরাম দেয়। অ্যালোভেরা মিশিয়ে ব্যবহার করলে ফল আরও ভালো হয়।
৩. মৃত কোষ দূর করে:
দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড হালকা এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে, ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল।
৪. প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে:
দুধের এনজাইম ও ভিটামিন ত্বকের কালচে ভাব হালকা করে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, দুধ দিয়ে গোসল কোনো জাদুকরী পদ্ধতি নয়। এটি সাময়িক আরাম দিতে পারে, কিন্তু কোনো চিকিৎসা বিকল্প নয়। কারও ত্বক দুধে সংবেদনশীল হলে অ্যালার্জির ঝুঁকিও থাকতে পারে।
অর্থাৎ, দুধ দিয়ে গোসল আধ্যাত্মিক বা প্রতীকী দিক থেকে যেমন সংস্কৃতিতে স্থান পেয়েছে, তেমনি এর কিছু বাস্তব উপকারও আছে। তবে এটি যেন কুসংস্কার নয়, বরং সচেতন স্কিনকেয়ার অভ্যাসের অংশ হয়—সেই বিষয়েই জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি সহায়তায়: VantageSoftGlobal
Leave a Reply